সপ্তাহব‍্যাপী আদিবাসী অধ‍্যুষিত এলাকায় জন সংযোগে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি

27th November 2020 11:47 am বর্ধমান
সপ্তাহব‍্যাপী আদিবাসী অধ‍্যুষিত এলাকায় জন সংযোগে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) : শুরু হয়েছে আদিবাসী অধ‍্যুষিত আউশগ্ৰাম ২ ব্লক থেকে । শেষ হবে জামালপুর ব্লকে । সপ্তাহব‍্যাপী আদিবাসী জনবসতি পূর্ণ এলাকাগুলিতে রাজ‍্য সরকারের পদক্ষেপ সহ উন্নয়নের কথা পৌঁছে দিতে কর্মসূচী করছেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি তথা রাজ‍্য তৃণমূল কংগ্ৰেসের মুখপাত্র দেবু টুডু । পায়ে হেঁটে পদযাত্রার মধ‍্য দিয়ে আদিবাসী সংস্কৃতিকে সাথে নিয়ে প্রচার করছেন বিভিন্ন এলাকায় । দুপুরে বা রাত্রে বিভিন্ন ব্লকের আদিবাসী এলাকায় থেকে মানুষের সাথে সরাসরি কথা বলছেন । কি উন্নয়ণ হয়েছে , কি কি সমস‍্যা রয়েছে কি চাইছেন আদিবাসী এলাকার মানুষ সে বিষয়গুলিই পর্যালোচনা করছেন সহ সভাধিপতি । শুক্রবার পূর্ব বর্ধমান সদর ২ ব্লকের কাশিয়াড়া আদিবাসী পাড়া থেকে পদযাত্রা শুরু করে হাটগোবিন্দপুর , পাহাড়হাটি , সাতগাছিয়া হয়ে কালনা ব্লকে প্রচার করবেন দেবু টুডু । আদিবাসী দের জন‍্য মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় এর নেতৃত্বে রাজ‍্য সরকার কি কি পদক্ষেপ নিয়েছেন তা তুলে ধরা হচ্ছে মানুষের কাছে । নিশিযাপন করে এলাকায় এলাকায় কথা বলা হচ্ছে গ্ৰামের মানুষের সাথে । সহ সভাধিপতি দেবু টুডু জানিয়েছেন , মানুষের অভাব অভিযোগ যেমন শুনছি তেমনি উন্নয়ণের বিষয়েই মত বিনিময় হচ্ছে । কি চাইছেন সকলে কোথায় সমস‍্যা তা সরাসরি মানুষ বলছেন । তা জেনেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে । এছাড়াও আদিবাসী সংস্কৃতিকে আরো প্রসারিত করার জন‍্য সরকারী দৃষ্টিভঙ্গির কথাও জানানো হচ্ছে । মানুষের প্রচন্ড উৎসাহ সব জায়গাতেই । কোনো সাম্প্রদায়িক শক্তি এই অগ্ৰগতিকে বাধা দিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন সহ সভাধিপতি । 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।